উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হলো: প্রধানমন্ত্রী

দেশের প্রথম পাতালরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হলো। নতুন যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ। তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমরা পাতালরেলের কাজের উদ্বোধন করলাম। এর আগে উড়াল মেট্রোরেল উপহার দিয়েছি৷ সেটা ওপর দিয়ে যাচ্ছে, এবার মাটির নিচ দিয়ে পাতালরেল যাবে।
পাতালরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা)
বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এই পাতাল মেট্রোরেল পথ নির্মিত হবে। এটিই মেট্রোরেলের প্রথম পাতাল যাত্রা। পাতালরেল নির্মাণ কাজে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। যার মধ্যে প্রায় ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা আসবে জাইকার সহায়তা থেকে। ২০২৬ সালে পাতালরেলের কাজ শেষ করতে চায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা।
উড়াল ও পাতাল পথের সমন্বয়ে দুটি রুটে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ হবে। এর মধ্যে উত্তরা ও বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত- এই রুটে মাটির নিচ দিয়ে চলবে মেট্রোরেল। এটি ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই রুটে স্টেশন হবে মোট ১২টি। পূর্বাচল রুটে নতুন বাজার স্টেশনটি হবে পাতালে। এরপর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। এ রুটে আবার স্টেশন হবে নয়টি।দেশের প্রথম পাতালরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠান (ছবি: ফোকাস বাংলা)
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণের সবচেয়ে বড় দিক হলো এটায় পরিবেশ দূষিত হবে না। বিদ্যুতে চলবে। এটা পরিবেশবান্ধব। শব্দদূষণ থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী জানান, পাতালরেলের কাজ করার সময় মাটির নিচ থেকে বোরিং মেশিন দিয়ে গর্ত করে টানেল করা হবে। এখানে জনগণের চলাচলের কোনও সমস্যা হবে না। ভূপৃষ্ঠের ১০ মিটার নিচে কাজ হবে, ফলে ওপর থেকে বোঝা যাবে না যে মাটির নিচে কাজ চলছে। এই পাতাররেলের পূর্বাচল অংশ হবে উড়ালপথ। এছাড়া বিমানবন্দর রুটে ১২টি পাতাল রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে। খননকাজের সময় মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব কাজ হবে।