রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৪ অপরাহ্ন

নিপুণ-জায়েদকে আদালতের আদেশ কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১০০ বার
আপডেট : সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থিতিবস্থার (স্ট্যাটাসকো) আদেশ কঠোরভাবে মানতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আদালতের আদেশ অমান্যের অভিযোগে নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে জায়েদ খানের করা আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথী। আর নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে নিপুণ আকতার ১৬৩ ভোট আর জায়েদ খান ১৭৬ ভোট পেয়েছিলেন। নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে নির্বাচনের পর থেকে সাধারণ সম্পাদক পদের ফল নিয়ে শুরু হয় নানান নাটকীয়তা, যার সমাধান এখন আদালতের গড়িয়েছে।

সবশেষ এই আদেশের পরও দুই পক্ষের আইনজীবীরাই বিভক্ত মত দিচ্ছেন। আদেশের পর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে কে দায়িত্ব পালন করবে জানতে চাইলে জায়েদ খানের আইনজীবী আহসানুল করিম আগের দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘জায়েদ খানই এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন।’ অন্যদিকে নিপুণের আইনজীবীও আগের দাবির অবস্থানে অনড় থেকে বলেছেন, ‘নিপুণ আক্তারই দায়িত্ব পালন করবেন।’

নির্বাচনের প্রায় এক সপ্তাহ পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে নির্বাচনি আপিল বোর্ড। এফডিসিতে ডাকা এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। নির্বাচনী আচরণবিধি না মানায় জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করা হয়। ফলে তার পরিবর্তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চিত্রনায়িকা নিপুণকে এ পদে জয়ী দেখানো হয়। পরে ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জায়েদ খান। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন তার আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী।

সেই রিটের শুনানি নিয়ে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল আবেদন জানান নিপুণ আক্তার। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানির পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আদেশ দেন আদালত।

চেম্বার আদালত বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। একইসঙ্গে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নিপুণ আক্তারের আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। পাশাপাশি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলেও আদালত তার আদেশে জানিয়েছিলেন।

এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। তবে আপিল বিভাগের আদেশ অমান্য করে নিপুণের বিরুদ্ধে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসার অভিযোগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালত অবমাননার মামলা করেন জায়েদ খান।

এদিকে জায়েদ খানের রিট মামলায় তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে গত ২ মার্চ হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। পরে নিপুণ আক্তার আপিল দায়ের করলে হাইকোর্টের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত ও স্থিতিবস্থা জারি করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রেরণ করেন চেম্বার জজ আদালত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর