যত্রতত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ছুটে বেড়ানোর ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত বলেছেন, যারা দেশের বাইরে বেগমপাড়া করছেন, যারা মালয়েশিয়া, আমেরিকাতে টাকা পাঠাচ্ছেন, এগুলো হলো বড় বড় মানি লন্ডারিং। তাদের ধরুন।
অর্থপাচার মামলায় এক আসামির আগাম জামিনের শুনানিকালে রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারোয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
পরে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, দিনাজপুরের সোনালী ব্যাংকের যে ব্রাঞ্চের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে ওই ব্রাঞ্চের কোন অস্তিত্ব নেই। অথচ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে ১৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার ২১৮ টাকার জমা করেছেন খলিলুল্লাহ আজাদ। বিভিন্ন সময়ে তিনি এই টাকা উত্তোলন করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, খলিলুল্লাহ আজাদ আরও প্রায় ২২টি মামলায় জামিনে আছেন। জেলে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে মোট চার মাসে ১৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি খলিলুল্লাহ আজাদের পরিবার থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় যে, মাত্র চার মাসের ব্যবধানে খলিলুল্লাহ আজাদ মিল্টনের বিরুদ্ধে পুলিশ ১৬টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এক মামলায় জামিন হলে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খলিলুল্লাহকে কারাগার থেকে বের হতে দিচ্ছেন না পুলিশ। তবে সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে গত ২ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের পুলিশ সুপার পাল্টা প্রতিবাদ জানান।