মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থেনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর বৈঠকে প্রকল্পটির সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে মেঘনা নদী থেকে পানি পরিশোধন করে ঢাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু মেঘনা নদীর তীরে চলমান শিল্প কার্যক্রম ও নদীর পানি দুষণের কারণে প্রকল্পটির কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়ে প্রকল্পের বিভিন্ন অংগের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রকল্পে দাতা সংস্থা ডানিডা, এএফডি, কেএফডব্লিউ ও ইআইবি সম্মিলিতভাবে ৩ হাজার ৫৩ কোটি টাকার অর্থায়ন যোগান দিচ্ছে। সংস্থাগুলো এ সংশোধনের কারণে প্রায় ১ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা দেবে।
মন্ত্রী বলেন, ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের নির্ভরতা কমাতে ৪৫০ এমএলডি ক্ষমতার সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।এটির মাধ্যমে রাজধানীতে পানি সরবরাহে সায়েদাবাদে বিদ্যমান প্লান্ট-১, ২ ও প্রস্তাবিত ৩ প্লান্টের স্লাজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে সায়েদাবাদ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে ঢাকা শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পরিশোধিত পানি সরবরাহের জন্য বিতরণ লাইন স্থাপন করা হবে।
এম এ মান্নান জানান, বৈঠকে এটিসহ প্রায় ৬ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা ব্যয়ের নয়টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা, সংস্থার অর্থায়ন ২৬ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ হিসেবে ২ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা যোগান দেওয়া হবে।
অনুমোদন পাওয়া অন্যপ্রকল্পগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া-কাওয়ালীপাড়া-কালামপুর বাস স্ট্যান্ড সড়ক আঞ্চলিক মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। ব্যয় হবে প্রায় এক হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। ব্যয় বাড়ছে ৯১ কোটি টাকা। জগন্নাথপুর ও মোহনগঞ্জ উপজেলায় দুটি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই) স্থাপন প্রকল্প। ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫৬ কোটি টাকা। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন (২য় সংশোধিত), কুষ্টিয়া প্রকল্প। ব্যয় বাড়ছে ৭১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার নদী তীর সংরক্ষণ, ছোট নদী, খাল-বিল পুন:খনন ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প। ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। শরীয়তপুর জেলার কীর্তিনাশা নদীর ডান ও বাম তীর রক্ষা প্রকল্প। ব্যয় হবে ৩১৯ কোটি টাকা। বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। ব্যয় বাড়ছে প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা। খুলনা হতে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। ব্যয় বাড়ছে ৪৫৯ কোটি টাকা।