তালেবানের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের একটি কাউন্সিল। তাতে যোগ দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কারজাই।
কাউন্সিলের অন্য দুই সদস্য হলেন, হিজব-ই-ইসলামি দলের নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ।
বিবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কারজাই বলেছেন, “তালেবান নেতৃত্বের সঙ্গে কাউন্সিলের যোগাযোগ রয়েছে এবং তাদের সাথে সমন্বয় করা হবে।”
“গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, আফগানিস্তানের সব মানুষের জীবন এবং নিরাপত্তা। আর আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, সেই সুরক্ষা ব্যবস্থা করা। তালেবান আমাকে বলেছে, তারা শহরের নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়ার জন্য লোক নিয়োগ করেছে। এ বিষয়ে আগামীদিনে আরও উন্নতি ঘটবে বলে আমি আশা করি।”
“ড. আশরাফ গানি (প্রেসিডেন্ট) তার কাজ ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি দৃশ্যপট থেকে বিদায় নিয়েছেন। সেই শূন্যস্থান পূরণে বৈধতা ফিরিয়ে আনা দরকার। কেবল বৈধ একটি ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই রাজধানী কাবুল এবং গোটা দেশের নিরাপত্তাভার যোগ্য হাতে তুলে দেওয়া যায়।”
“তালেবান এখন আধিপত্য বিস্তার করেছে। আমি আশা করি এই আধিপত্য বলিষ্ঠ এবং তা আফগান জাতির কল্যাণের জন্যই,” বলেন কারজাই।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর অভিযানে গোঁড়া ইসলামী দল তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন হামিদ কারজাই।
তার শাসনামলের পর আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আশরাফ গানি। কিন্তু তালেবানের সঙ্গে চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করলেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর এক শহর দখলের পর রোববার কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। এই পরিস্থিতিতে গানি আফগানিস্তান ছাড়লে তালেবান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদও দখল করে।
দেশত্যাগের জন্য সহযোগীদের সমালোচনার মুখে আশরাফ গানি এক ফেইসবুক পোস্টে বলেছেন, স্বদেশীদের রক্তপাত ও প্রাণক্ষয় এড়াতেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।