তারকাবহুল তামিম-মাহমুদউল্লাহদের হারালো মিরাজ-সাব্বিররা
উদ্বোধনী ম্যাচে বড় সংগ্রহ করেও জয়ের দেখা পায়নি তারকাবহুল মিনিস্টার ঢাকা। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও একই পরিণতি। ঢাকার আন্দ্রে রাসেল, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ শেহজাদ প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স না করতে পারায় ফল পাচ্ছে না ঢাকা। অন্য দিকে ঢাকা হারলেও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের দেখা পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগে ব্যাটিং করা চট্টগ্রাম ১৬১ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ঢাকাকে। সেই লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে ১৩১ রানেই থেমে যায় মাহমুদউল্লাহর ঢাকা। ফলে ৩০ রানের দারুণ জয়ে হাসিমুখেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছে মিরাজ-সাব্বিররা।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে ফিরে যান আফগান ব্যাটার মোহাম্মদ শেহজাদ (২)। অন্য প্রান্তে থাকা তামিম তখন অস্বস্তি নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন। শুরুর অস্বস্তি কাটিয়ে উঠে টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৪২ বলে পাওয়া এই হাফসেঞ্চুরি অবশ্য দলের কোনও কাজে আসেনি! শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রানে আউট হন এই ওপেনার। ৫২ রানের ইনিংস খেলার পথে মুশফিককে হটিয়ে বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান তামিম।
তামিম-নাঈম-শুভাগত হোম-মাহমুদউল্লাহদের বিদায়ের পর আশা ছিল ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে রাসেল কিছু একটা করবেন। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি। বোলিং-ফিল্ডিংয়ে ব্যর্থ রাসেল এই ম্যাচেও ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। রাসেলের আউটের পর লেট অর্ডার ব্যাটাররা কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে ১৩১ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।
চট্টগ্রাম বোলারদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ৩৪ রানে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া নাসুম আহমেদ ৯ রানে তিনটি উইকেট নেন। মুকিদুল ও নাঈম একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স মাঝারি মানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। ওপেনার কেনার লুইস ২ রানে আউট হলেও আরেক ওপেনার উইল জ্যাকসের তাণ্ডবে ভালো শুরু পায় চট্টগ্রাম। ২৪ বলে ঝড়ো ৪১ রানে স্কোরবোর্ডের গতিপথ ঠিক করে দেন জ্যাকস। চার ৬ ও ২ ছক্কায় জ্যাকস নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাব্বির রহমান ১৭ বলে ২৯, মেহেদী হাসান ২৫ বলে ২৫ এবং বেনি হাওয়েল ১৯ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় চট্টগ্রাম। বেনি হাওয়েল ১ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে আন্দ্রে রাসেল কোনও অবদান রাখতে পারেননি। ১ ওভার বোলিং করে ১৭ রান খরচ করে উইকেটশূন্য ছিলেন ক্যারিবীয় এই পেসার। রুবেল হোসেন ২৬ রান খরচ করে তিন উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আরাফাত সানি, ইসুরু উদানা, শুভাগত হোম, মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।