ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু: স্বামী ইফতেখার ফের রিমান্ডে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী এলমা চৌধুরী মেঘলার মৃত্যুর ঘটনায় বনানী থানার হত্যা মামলায় স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
১৫ ডিসেম্বর ইফতেখারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে রোববার তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক সালাউদ্দিন মোল্লা।
আবেদনে বলা হয়, তিন দিনের রিমান্ডে পেয়ে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আসামি চতুরতার সঙ্গে ঘটনার নানা বিষয় গোপন করে যায়। ঘটনায় জড়িত পলাতক দুই আসামির বিষয়ে ইফতেখার সুকৌশলে গোপন করে যায়। তাই মামলার তদন্তের স্বার্থে ফের ৫ দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করছি।
রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর মো. শামসুর রহমান বলেন, ‘শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে এলমাকে আঘাত করা হয়নি। এমনভাবে টর্চার করে এলমাকে হত্যা করা হয়েছে। সে স্বামীর বাড়িতেই মারা গেছে। তারা বলছে কিছুই জানে না। এটা মিথ্যা, তারাই এলমাকে হত্যা করেছে। সুরতহাল রিপোর্টেও তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাই এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কর্মকর্তার প্রার্থিত এই রিমান্ড মঞ্জুর করা আবশ্যক। ’
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, এ আসামি তিন দিনের রিমান্ডে ছিলেন। আবার তার রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তিনি গত ১১ ডিসেম্বর আসামি কানাডা থেকে দেশে আসেন। ঘটনার দিন ১৪ ডিসেম্বর শাশুড়িকে ফোনে এলমার অসুস্থতার বিষয়টি জানায়। আসামি যদি তার স্ত্রীকে মেরে ফেলতেন, তাহলে কি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন? এমন কিছু করলে তো তিনি মরদেহ ফেলে পালিয়ে যেতেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ইফতেখারের ফের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার ঘটনায় জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান এলমা। তাকে প্রথমে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ওই ঘটনায় গত রাতেই এলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।