শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

ঢাবির সিনেটে ৬৬ শতাংশ পদশূন্য

রিপোর্টার / ১৪৬ বার
আপডেট : বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১

পদাধিকার, নির্বাচিত ও মনোনীত তিন ক্যাটাগরির ১০৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট। ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া সিনেট সদস্যদের মেয়াদ তিন বছর। বর্তমানে সিনেটের গুরুত্বপূর্ণ ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি ও ২৫ জন রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধির পদ শূন্য রয়েছে।

বলা যায়, নির্বাচিত ক্যাটাগরির ৭০ জন তথা ৬৬ শতাংশ পদই শূন্য। নিয়ম অনুযায়ী, পরবর্তী ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র প্রতিনিধিরা সিনেট সভায় অংশগ্রহণ করতে পারলেও তাদের মেয়াদ এক বছর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারের ধারা অনুযায়ী, পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সিনেটের চেয়ারম্যান, দুই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনেটের সদস্য হবেন। সরকার কর্তৃক মনোনীত ৫ জন সরকারি কর্মকর্তা, সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত ৫ জন গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি, একাডেমিক পরিষদ কর্তৃক মনোনীত অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজসমূহের ৫ জন অধ্যক্ষ ও ১০ জন শিক্ষক এবং ডাকসু কর্তৃক মনোনীত ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি সিনেটের সদস্য হবেন। নির্বাচিত ক্যাটাগরি ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি ও ২৫ জন রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট সিনেটের সদস্য হবেন।

তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২২ মে। তখন মনোনয়নকে কেন্দ্র করে আওয়ামী পন্থি নীলদল বিভক্ত হয়ে দুটি প্যানেল জমা দেয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন একটি অংশের মনোনয়ন বাতিল করলে নীল দলের শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করে। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমঝোতা হলে সেই নির্বাচনে নীল দলের ৩৩ জন ও সাদা দলের দুই জন নির্বাচিত হয়। রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েটসহ গুরুত্বপূর্ণ ৫০ টি পদশূন্য রেখে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই সিনেটে অধিবেশনের মাধ্যমে উপাচার্য প্যানেল চূড়ান্ত করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। কিন্তু ২৪ আগস্ট অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষট্রপতি উপাচার্য়ের দায়িত্ব দেন তৎকালীন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানকে। পরবর্তীতে ডাকসু, রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন হলে পূর্ণ সদস্যের সিনেট বসে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই।  সর্বশেষ বাজেট অধিবেশনের পর রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েটদের মেয়াদ শেষ হয়। অন্যদিকে মেয়াদ না থাকায় শিক্ষক প্রতিনিধিরা অধিবেশনে অংশ নিতে পারেনি।

শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে সিনেট সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকায় শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে নীল দলে আলোচনা চলছে। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো সভা হয়নি কোভিডের কারণে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীল দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে প্রতিনিধিদের তালিকা নীল দলের সভায় চূড়ান্ত করা হবে।  যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. আবদুর রহিম বলেন, প্রশাসন তফসিল ঘোষণা করলে নীল দলের সভায় মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, কোভিডের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সিনেটে শূন্যপদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর