ড্যারিল মিচেলের মনে সবসময় বিশ্বাস ছিল
অবিশ্বাস্য এক জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। একসময় হার চোখ রাঙালেও সেদিকে না তাকিয়ে নিজেদের পারফরম্যান্সে নজর রেখে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে কিউইরা। আর এই জয়ের নায়ক ওপেনার ড্যারিল মিচেল। তার দুর্দান্ত ইনিংসেই কঠিন সমীকরণ সহজে মিলে গেছে। যদিও মিচেলের নিজের কখনও মনে হয়নি ইংল্যান্ডের লক্ষ্য পেরোনো সম্ভব নয়। সংবাদ সম্মেলনে জানিযেছেন, সবসময় বিশ্বাস ছিল তার মনে।
আবুধাবির প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ১৬৬ রান করেছিল। লক্ষ্যটা মোটেও সহজ ছিল না। এর মধ্যে ১৩ রান তুলতে মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসনের বিদায়ে কাজটা আরও কঠিন হয়ে ওঠে। সেই জায়গা থেকে দলকে টেনে তুলে চমৎকার ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে নিজের নাম খোদাই করে লিখে নিয়েছেন মিচেল। তার ৪৭ বলে খেলা হার না মানা ৭২ রানের ইনিংসে জয় নিশ্চিত হয় কিউইদের। তার আগে জিমি নিশামের ১১ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শেষ দুই ওভারে ২০ রান প্রয়োজন পড়লেও মিচেল ঝড়ে এক ওভার আগেই কাজ সেরে ফেলে নিউজিল্যান্ড। এ নিয়ে দুই বছরের মধ্যে আইসিসির তিন ইভেন্টের ফাইনালে কিউইরা। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এ বছরের জুনে ভারতের বিপক্ষে খেলেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। হট ফেভারিট ইংল্যান্ডকে বিদায় করে কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরে প্রথমবার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে তারা।
জয়ের নায়ক মিচেল সংবাদ সম্মেলনে বলে গেছেন, ‘আমাদের ৫০ লাখ মানুষের দেশ। অবশ্যই দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা গর্বের। কয়েক বছর ধরেই আমরা সাফল্য পাচ্ছি। এই জয়ের আনন্দ অবশ্যই হবে, তবে দ্রুতই আমাদের সামনে তাকাতে হবে। কারণ রবিবারের ফাইনাল এখনও আছে।’
১৯তম ওভারে ক্রিস ওকসকে দুই ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন মিচেল। ৬ বল আগেই ফাইনালের টিকিট পেলেও যাত্রাটা মোটেও সহজ ছিল না। পথটা ছিল অনেক সংগ্রামের। তবে মিচেলের মনে সবসময় বিশ্বাস ছিল, ১৬৬ রান টপকে যাওয়া সম্ভব। কখনও কি মনে হয়েছিল এই লক্ষ্য পেরোনো সম্ভব নয়, এমন প্রশ্নে এই ব্যাটার বলেছেন, ‘না, কথাটা শুনতে হয়তো অদ্ভুত লাগবে, তবে আমার কখনও মনে হয়নি ম্যাচ আমাদের হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে। একপাশে যেহেতু বাউন্ডারি ছোট ছিল, তাই আমরা জানতাম ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব। আমাদের সবসময় বিশ্বাস ছিল।’