জমি লিজ দিয়ে ফসল উৎপাদনে সহযোগিতা চায় দক্ষিণ সুদান: কৃষিমন্ত্রী
দক্ষিণ সুদান সে দেশের বিশাল পতিত জমি বাংলাদেশকে লিজ দিতে চায় এবং বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায়। এ বিষয়ে সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট খাত চিহ্নিত করতে দেশটিতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাবে বাংলাদেশ। এ টিমে কৃষি গবেষক, বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী দেং দাউ দেং মালেকের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মেয়ম অ্যালিয়েন, ইথিওপিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম, সেনা কল্যাণ সংস্থার উপমহাপরিচালক কর্নেল মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ সুদানে ছয় লাখ বর্গ কিলোমিটারের বেশি জমি রয়েছে। এর বেশির ভাগ জমি পতিত পড়ে থাকে, চাষাবাদ হয় না। এ বিশাল এলাকাকে কৃষি উৎপাদনের আওতায় এনে অনেক ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সে দেশের সরকারের মালিকানাধীন খাস জমি লিজ নিয়ে ফসল উৎপাদনের বিষয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সরকারও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা দক্ষিণ সুদানে কী ফসল উৎপাদন করা যায়, জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়, তা দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাবো। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বেসরকারি খাতের যারা বিনিয়োগ করতে চান, তাদেরকেও আমন্ত্রণ জানাবো। শ্রমিক পাঠানোসহ এসব বিষয়ে সরকারই উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী দেং দাউ দেং মালেক সে দেশে কৃষি উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, কৃষি খাতে আমরা বাংলাদেশের সাফল্য ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। আমাদের বিশাল পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন করে নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও রফতানিও করতে চাই।