চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনে নিপুণকে বিজয়ী ঘোষণা আপিল বোর্ডের
জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান।রবিবার বিকালে নির্বাচিত কমিটির শপথ অনুষ্ঠান হবে। আর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপিল বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে দাবি করে সদ্য নির্বাচিত জায়েদ খানের সম্পাদক পদ বাতিল ঘোষণা করেছে আপিল বোর্ড। সঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো নিপুণকে। একই অভিযোগে নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়। আর সেই পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় নাদির খানকে। এছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে আখ্যা দেন আপিল বোর্ডের প্রধান সোহান। শনিবার ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে এমনটাই ঘোষণা করেন নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান।
এমন ঘোষণার পর অশ্রুসিক্ত হন নিপুণ। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি অনেক জায়গায় গিয়েছি, দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুনের কাছে গিয়েছিলাম। আমাকে কেউ হেল্প করেনি। যাক শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হলো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার প্রথম কাজ এখন প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে আনার ব্যবস্থা করা। আমি কথা দিচ্ছি, এই কাজটি করবো।
এর আগে পূর্বনির্ধারিত সূচি মতে, এদিন বিকাল সোয়া ৪টার দিকে সমর্থকদের বহর নিয়ে বিএফডিসি ঢোকেন নিপুণ। সবার মুখে স্লোগান ছিলো ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এসময় নিপুণের সঙ্গে ছিলেন সাইমন সাদিকসহ বিভিন্ন সমিতির সদস্যরা।
শিল্পী সমিতির সামনে খোলা প্রাঙ্গণে নিপুণ অংশ নেন আপিল বোর্ডের প্রধান নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান ও সদস্য মোহাম্মদ হোসেনের সঙ্গে। এদিন বিবাদী জায়েদ খান উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ‘সম্পাদক’ পদ নিয়ে ওঠা বিতর্ক সমাধানের লক্ষ্যেই আপিল বোর্ডের এই বৈঠক। যার মধ্যদিয়ে নিপুণের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রার্থিতা বাতিল হলো নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের।