সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও কৃষিমন্ত্রীকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আমাদের ইকোনোমির একটা বড় ব্রেক থ্রু হবে। যেটা আমরা বারবার বলছি যে গার্মেন্টেসের পাশাপাশি আমাদের কিছু ডাইভারসিফিকেশন দরকার। দক্ষিণ সুদানসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটা দেশ আমাদেরকে অফার করেছে যে, তোমরা যদি আস তোমাদেরকে হিউজ জমি লিজ দেব। সেখানে তোমরা যদি এগ্রিকালচারাল প্রডাক্ট করতে পার সেটা আমরা ওয়েলকাম করি। এই বিষয়টা অনেকক্ষণ আলোচনার পর পররাষ্ট্র, বাণিজ্য এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন খুব কুইকলি দেখার জন্য।বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আফ্রিকার কিছু দেশে ‘এগ্রিকালচারাল ফার্ম’ করে অনেক কিছু উৎপাদন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওসব দেশে লোকজন নেই। কিন্তু তাদের জমিজমা আছে। দক্ষিণ সুদান যেমন একটা। লাইবেরিয়া- এসব জায়গাতে আছে। এইটা এক্সপ্লোর করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের কৃষি পণ্য বাইরে যেতে পারে সেটাও আর একটু এক্সপ্লোর করার জন্য। স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলো থেকে আমাদের সবজিকে তারা ওয়েলকাম করছে। সেটাও এক্সপ্লোর করার জন্য। ওই সব দেশে আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুযায়ী দেখতে হবে কোন কোন ফসলগুলো সুইটেবল, সেগুলো আমরা যদি প্রডাকশন করি এবং সেখানকার বাজারে বিক্রি করতে পারি, আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতে পারি বা আমাদের জন্য এখানে আনতে পারি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের দেশ থেকেও যেন বাইরের দেশে কৃষিপণ্য নিতে পারি সেজন্য পূর্বাচলে অলরেডি দুই একর জমি কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে- যাতে ইন্টারন্যাশনাল আইএসও স্ট্যান্ডার্ডের একটা ল্যাবরেটরি করা হয়। যে কৃষিপণ্যটা নেবে সে ওখানে নিয়ে ওখানেই প্যাক করে সার্টিফিকেট নেবে। আমাদের অনেক জিনিস যেতে পারে না। ওরা বলে তোমাদের স্ট্যান্ডার্ড ঠিক নাই। এই ল্যাবরেটরি অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে, কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। ওখানে একটা মামলা ছিল, সেটা মোটামুটি শেষ হয়ে গেছে। আমার মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।