কারখানা থেকে ফোন দিয়ে বলেছে, ‘ফিরতেই হবে’

লকডাউনের মধ্যে পোশাকসহ অন্যান্য কারখানা খোলার ঘোষণায় সারাদেশ থেকে শ্রমিকরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরা শুরু করেছেন। শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরিতে গাদাগাদি করে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসতে দেখা যায় তাদের। দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার যাত্রীরা এ নৌ রুটে যাতায়াত করেন।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট ছোট বাহনে চড়ে তাদের বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে আসতে দেখা গেছে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে গাদাগাদি করে তারা পদ্মা পার হচ্ছেন। শিমুলিয়া ঘাটে এসেও অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেলে চড়ে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলার উদ্দেশে রওনা হতে দেখা যায়।
নিরাপত্তাকর্মী দুলাল থাকেন ঢাকার রামপুরায়। তাকেও তার অফিস থেকে ফোন করে কর্মস্থলে যেতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘চাকরি করি। তাই নানা ভোগান্তির মধ্যেও কর্মস্থলে যাচ্ছি। বাস চালু করে দিলে ভালো হতো।’
আসাদ নামের আরেক গার্মেন্টকর্মী বলেন, ‘যতটা কষ্ট করে ঘাট পর্যন্ত এসেছি, তাতে মনে হয় গার্মেন্ট এখন খোলা ঠিক হয়নি। গার্মেন্ট খুললে আমাদের যেতেই হবে। আমাদের আর কোনও উপায় নেই। এ পর্যন্ত আসতে যত ভোগান্তিতে পড়েছি, জীবনেও এত ভোগান্তিতে পড়িনি। সহযাত্রী অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমার কর্মস্থল গাজীপুর। দেখি কিভাবে বাকী পথ যেতে পারি!’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। আগেরবারের তুলনায় দ্বিগুণ ভাড়া দিচ্ছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাট থেকে যেসব ফেরি বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে যাচ্ছে, সেগুলোতে তেমন ভিড় নেই। তবে বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা ফেরিতে যাত্রীর ভিড় আছে।’