সোমবার সারাদেশে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল আর ৫৯৯ জন নতুন রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বাড়লেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন আরও ৭০১ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ২৫ হাজার ১৬৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। গত একদিনে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৪৫৬ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের ৬৮ শতাংশের বেশি। আর যে ১৪ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৬ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২৩ হাজার ১৫৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪৪টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা আগেরদিন ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ ছিল। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৬ জন বাদে চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ জন, খুলনা বিভাগের ২ জন, বরিশাল বিভাগের ১ জন এবং রংপুর বাসিন্দা ছিলেন ১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।তাদের মধ্যে ১২ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ১ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।