মৃত্যুর সংখ্যা পাশাপাশি শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও গত এক কিছুটা কমে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ২৬ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে দেশে ৩ হাজার ১৬৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্ত রোগীর হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের দিন এই হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ ছিল। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ১০ হাজার ২৮৩ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হল; তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৬ হাজার ৪৩২ জনের।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৪৩৬ জন নতুন রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৮৮ জনের। সেই হিসেবে এক দিনে শনাক্ত রোগী আর মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই কমেছে।
গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ১ হাজার ৮৫৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি। আগের দিন এ বিভাগে ২ হাজার ৪৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
যে ৭০ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ২৪ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।এই ৭০ জনের মধ্যে ৩৪ জন ছিলেন পুরুষ এবং ৩৬ জন নারী। এ নিয়ে অষ্টমবারের মত দৈনিক মৃত্যুতে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি হল।
মহামারীর দেড় বছরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে যত পুরুষ মারা গেছে, নারী মারা গেছে তার অর্ধেকেরও কম। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের পর অগাস্ট মাসেই নারীর মৃত্যুহার বেড়ে গেছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন আরও ৪ হাজার ৬৯৭ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৮২ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে সবচেয়ে বাজে সময়টা পার করে এসে ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ অগাস্ট তা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২১ কোটি ৯১ লাখের বেশি রোগী।