ওমিক্রন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমায় এবং দ্রুত ছড়ায়: ডব্লিউএইচও
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন বেশি সংক্রামক এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলো কম তীব্র।
ভারতে এই বছরের শুরুর দিকে প্রথম শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য দায়ী। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি সংখ্যক বার পরিবর্তিত।
গত মাসে ওমিক্রন শনাক্তের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সংক্রমণ ঠেকাতে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং অভ্যন্তরীণ বিধিনিষেধ ফের চালু করে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওমিক্রন ৬৩টি দেশে ছড়িয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। সেখানে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কম প্রভাব বিস্তারকারী। আর যুক্তরাজ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখনও প্রভাবশালী হলেও দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন।
এক টেকনিক্যাল ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও বলেছে, প্রাথমিক প্রমাণে দেখা যাচ্ছে সংক্রমণ এবং ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা কমিয়ে দেওয়ার কারণ ওমিক্রন। ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, ‘বর্তমানে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে যেসব স্থানে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে সেখানে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট হটিয়ে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে ওমিক্রন।’
ওমিক্রন সংক্রমণ এখন পর্যন্ত মৃদু অসুস্থতার কারণ তবে ডব্লিউএইচও বলছে, ভ্যারিয়েন্টটির ক্লিনিক্যাল তীব্রতা প্রতিষ্ঠার জন্য এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত তথ্য নেই।
গত ২৪ নভেম্বর ওমিক্রন শনাক্তের কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ফাইজার/বায়োএনটেক গত সপ্তাহে জানায় তাদের তিন ডোজ টিকা এখনও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর।
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মতো যেসব দেশে পর্যাপ্ত টিকা মজুত রয়েছে তারা নিজ নিজ জনগোষ্ঠীকে ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টার হিসেবে তৃতীয় ডোজ টিকা নেওয়ায় উৎসাহ যোগাচ্ছে।