আওয়ামী লীগের নৈকট্য লাভের চেষ্টা বিএনপির জোটভাঙা শরিকদের
বিএনপির জোট ভাঙার কারণ তুলে ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ একাধিক নেতা বলেন, একটি রাজনৈতিক জোট গড়ে ওঠে আদর্শের ভিত্তিতে, জনগণের কল্যাণের কথা ভেবে। বিএনপির ভেতর দুটোই অনুপস্থিত। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে টাকা দিয়ে দল গড়েছেন। কিন্তু ভিত্তি না থাকায় হারিয়ে গেছে দলগুলো। এটা জনগণ যেমন বুঝেছে, বিএনপির শরিকরাও বুঝেছে। তারা বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের বড় দুর্বলতা জোট ভাঙা। এতে স্পষ্ট হয়েছে বিএনপি অন্তসারশূন্য। এটা কিছুটা দেরিতে হলেও এটা বুঝেছে শরিকরা। ২০ দলীয় জোট নেতারা বুঝতে পেরেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি গণমুখী ও উন্নয়নমুখী, বিএনপির রাজনীতি দুর্নীতিমুখী।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর মতিয়া চৌধুরী বলেন, আদর্শ মজবুত না হলে জোট-দল কিছুই টেকে না। আর জামাত তাদের ছাড়েনি অথবা তারা জামাত ছাড়েনি। দুই দলের আদর্শই এক।
সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, জোটের রাজনীতি যদি হয় শুধু ক্ষমতার, তখন জোট টিকতে পারে না। বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে তারা গ্যাপগুলো দেখেছেন। তাই তারা বেরিয়ে যাচ্ছেন।
সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য ফারুক খান বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের নেতারা ‘আমদানি’ করা রাজনীতি সঠিক নয় মনে করে জোট ত্যাগ করতে শুরু করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া দুর্নীতির দায়ে বিদেশে পলাতক। তার সিদ্ধান্ত ও রাজনীতিতে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন শরিকরা। বুঝতে পেরেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতি গণমুখী। বিএনপির সঙ্গে থেকে তারা গণমুখী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। জনগণের কল্যাণে কাজও করতে পারছে না। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে জোট ছেড়ে যাচ্ছে তারা।