রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার একদিনের মাথায় বুধবার এমন অভিযোগ করেছে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়টি মস্কোর পর্যালোচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে সবচেয়ে গুরুতর সংকটের মুখে রয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা দেশটির প্রায় পুরো আর্থিক ও কর্পোরেট ব্যবস্থাকে আক্রান্ত করেছে। রুশ জ্বালানি আমদানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে পেসকভ বলেন, রাশিয়া একটি নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহকারী ছিল এবং থাকবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার একটি প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মস্কো এখন খুব গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করবে জানান পেসকভ। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণা গভীর বিশ্লেষণের দাবি রাখে। আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন রাশিয়া কি করতে যাচ্ছে, তার উত্তর হবে, ‘রাশিয়া তার স্বার্থ রক্ষার জন্য যা করা দরকার তাই করবে।’
বিশ্বের বৃহত্তম তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানিকারক দেশ রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলায় বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ছে দেশটি। মঙ্গলবার এই তালিকায় দেশটির জ্বালানি রফতানি খাতও যুক্ত হয়। এর পরপরই নির্দিষ্ট পণ্য ও কাঁচামাল রফতানি নিষিদ্ধের এক ডিক্রিতে সই করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পণ্যের তালিকা এবং কোন কোন দেশের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে তা নির্ধারণ করবে রাশিয়ার মন্ত্রিসভা। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।